শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০

আগুন,পরম প্রিয়সী আমার


‘‘আগুন, আগুনরে তোর অন্তর কেমন জানি
 তোর বুকে ঝাঁপ দিলে জ্বালা কমবে নি?’’

আগুন, পরম প্রিয়সী আমার, ভেবো না তোমায় ভুলে থাকি
তুমি যে আমার হাতের কব্জিতে লাল সুতোয় বাঁধা রাখি।
হরদম জ্বলছ চোখের সামনে, মেঘের গর্জনে আর বজ্রপাতে
জ্বলেই চলছ স্বামীহারা মিনু, নূরীর বুকের হাহাকারে, লজ্জাতে। 
তুমিই যে ঘৃতশিখা 
দুই সতীনের ঘরে চন্দনের লাকড়ি জুড়ে
তুমিই যে কষ্টলিখা 
সৎমায়ের নিপীড়নে অতীষ্ঠ ছোট্ট জোনাকির অন্তুপুরে। 
তুমি তো বোঝো না, কতটা ঘোরলাগা চোখে তাকিয়ে থাকি তোমার দিকে
তুমি তো খোঁজ না, ভয়ে জড়োসড়ো পার্সিয়ান সাকি এ প্রেমিকটিকে
প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তের আলোতে তোমার কী অনন্য মিষ্টি রূপ 
দিলে একেবারে উজার করেই দাও
নিলে একেবারে অবশিষ্ট না রেখে নাও।
পতঙ্গ হলেই চোখ বুজে ঝাঁপ দিতাম, একেবারে চুপ। 
ফুঁজিয়ামোতে 
যা সবচেয়ে বেশি বিকশিত, তা তোমার রূপ মদিরা গন্ধ
আমাকে আহ্বান জানায় লিখে যেতে চিরকাল কবিতার ছন্দ।
পুড়ে গিয়ে ফুরিয়ে যাবার আগেই খুব ইচ্ছে করে
স্বাদ নিই গলন্ত লাভার, এমন অপরূপ স্বরূপ তোমার। 
বালির সমূদ্র তীরে মাউন্ট আগুং থেকে ওইতো উদগীরণ হচ্ছে
অপরূপা অগ্নিতরল, এমন মহান সৌন্দর্যের পীড়ায় পুলকে
কাঁপছি ৪৫২০ কিলোমিটার দূর থেকেও।
আমার সনাতনী বন্ধুরা, তোমায় পায় মৃত্যুর পরই
পরম পুজনীয় আশ্রয়রূপে 

পুরান্নগর / ১০-১২-১৯


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন