ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কবিতা
অনুবাদ: গাজী সাইফুল ইসলাম
(30 ডিসেম্বর 2006 সাদ্দামকে ফাঁসিতে ঝোলায় আমেরিকার দোসর কুর্দী ইরাকিরা। আর লেখাটি দৈনিক জনকন্ঠে ছাপা হয়:
05 জানুয়ারি 2007)
সাদ্দাম হোসেনের কবি জীবন খুবই কম সময়ের। সব মিলিয়ে
৬৯ বছর বয়সের জীবনে দু’বছরেরও কম সময় কবিতা লিখেছেন তিনি। এই জীবনে একনায়ক, লৌহমানব
এমনই আরও বহু নিষ্ঠুর অভিধায় বিভিন্ন সময় আখ্যায়িত করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু কবি নামে
কেউ কখনো আখ্যায়িত করেছে বলে মনে হয় না। হয়তো তিনি নিজেও চান নি। কিন্তু জীবন-মৃত্যুর
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মহাকব্য লেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ইতিপূর্বে ঔপন্যাসিক হিসেবেও
স্বীকৃতি মিলেছে তাঁর। গোটা তিনেক উপন্যাস (দি ফর্টিফাইড ক্যাসেল, ম্যান এন্ড দি সিটি
ও বি গন ডেমনস) তাঁর জীবীতাবস্থাতেই প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদ আমরা জানতাম কিন্তু
সাদ্দাম হোসেন যে কবিতা লিখতেন এটা আমাদের অনেকেরই অজানা ছিল। মার্কিন সেনাছাউনি ক্যাম্প
ক্রপারে তাঁর জন্য নির্মিত ছয় ফুট বাই সাত ফুটের ঘরটিতে বন্দি থাকা অবস্থায় জানুয়ারি
২০০৪ থেকে ২০০৫ আগস্ট পর্যন্ত ১ বছর ৭ মাস সময় তিনি একটার পর কবিতা লিখে গেছেন। মাঝে
মধ্যে কবিতা রেখে লিখেছেন গল্প। কিন্তু ওসব লেখা তিনি কাউকে দেখাতেন না। হয়তো দেখাবার
মতো এমন নির্ভরযোগ্য মানুষ সেখানে তিনি পান নি। জীবনের শেষ দিনগুলোতে তিনি শুধু ঘৃণাই
দেখেছেন তাঁর চারপাশে।
সাদ্দামের দেখাশোনা করার জন্য নিয়োজিত ৫৬ বছর বয়সী
মার্কিন নার্স রবার্ট এলিস কিছুটা নরোম মনের মানুষ। দীর্ঘ সময় সাদ্দামের কাছাকাছি থেকে
অন্যরকম এক সাদ্দামের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। সাদ্দাম তখন শুধু বই পড়তেন। লিখতেন আর তাঁর
খাবারের অংশ পাখিদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দিতেন। এলিসের ভাই মৃত্যুশয্যায় শুনে তিনি তাকে
সাত্ত¡না দিয়ে বলেছিলেন,
‘‘ দুঃখ করো না। আমাকে মনে করো তোমার ভাই।’’ সাদ্দামকে ফাঁসি দেয়ার দু’দিন পর তিনি
এসব কথা সাংবাদিকদের বলেছেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এলিস সাদ্দামের উঁচু আত্মসম্মান
বোধের গল্প সাংবাদিকদের শুনিয়েছেন। দরজার নিচের একটি ফুটো দিয়ে প্রথম প্রথম ওরা তাঁকে
খাবার দিতো। হিংস্র জানোয়ারকে যেভাবে খাবার দেয়া হয়। সাদ্দাম এ অপমান সহ্য করতে না
পেরে এর প্রাতিবাদে খাদ্য গ্রহণ করতেই অস্বীকৃতি জানালেন। শেষে দুয়ার খুলে স্বাভাবিকভাবেই
খাবার দিতে বাধ্য হয়েছিল তারা।
এলিস জানিয়েছেন, এত অপমান, কষ্ট সত্তে¡ও সাদ্দামকে
কখনো অনুশোচনা করতে দেখেন নি তিনি। একটা কথাই সাদ্দাম বলতেন, যা কিছু করেছি-ইরাকের
ভালোর জন্য করেছি। এলিসের সঙ্গে গল্পছলে অতীতের স্মৃতিচারণও করতেন সাদ্দাম। তিনি যে
কৃষক ছিলেন এ কথা তিনি মনে রেখেছিলেন। তিনি তাঁর বাল্যে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাঁর
বাড়ির কথা, ছেলেমেয়েদের কথা বলেছেন।
তবে ধারণা
করা হয় সাদ্দামের অনেক কবিতা, গল্প এলিসের কাছে থাকতে পারে। কিন্তু এলিস সামরিক আইন
লঙ্ঘন হয়ে যায় এই ভয়ে ওসব কথা প্রকাশ করছেন না। একদিন হয়তো সবকিছু জানা যাবে।
অবশ্য আগেও একবার সানডে টাইমসের একটি রিপোর্ট থেকে
আমরা জানতে পেরেছিলাম সাদ্দাম যে কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন। নিচের সানডে টাইমস-এর
রিপোর্টের সংক্ষিপ্ত অনুবাদ প্রকাশ করার হলো।
আমি মরার জন্য প্রস্তুত আছি
(লন্ডনের সানডে টাইমস পত্রিকার বরাদ দিয়ে ইন্দো-এশিয়ান
নিউজ সার্ভিস সংবাদটি পরিবেশন করেছিল ১৪ মে, ২০০৬।)
সাবেক ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন তাঁর বিশ্বস্ত
আইনজীবী বুশরা খলিলকে, যখন তিনি কয়েদখানায় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন, বলেছিলেন, “আমি মরার জন্য প্রস্তুত আছি।”
“আই এম র্যাডি টু ডাই।” সাদ্দাম হোসেনের উদ্ধৃতি
দিয়ে ব্রিটিশ পত্রিকাটি লিখেছে, তিনি বলেছিলেন, “ফাঁসির ভয়ে ভীত নই আমি।”
মিসেস খলিল লেবানিজ আইনজীবী, যিনি একমাত্র মহিলা
সাদ্দামের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছিলেন। ওই তারিখে সাদ্দামের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা
ধরে কথা বলেছিলেন মিসেস খলিল, তবে বেশিরভাগ সময় কথা হয়েছে বিশ্বরাজনীতি আর একটি ছোট্ট
কবিতা নিয়ে। তিনি তাকে জোর দিয়ে বলেছিলেন, মৃত্যুর কথা ভেবে তিনি কখনো আতঙ্কিত হন না,
তিনি তাঁর ভাগ্যকে মেনে নিয়েছেন। তিনি স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, আমি তো সেদিন-ই
মরে যেতে পারতাম যে দিন আব্দুল করিম কাজিম আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।” ওই ঘটনার পর
পরই আব্দুল করিমকে দেশান্তরিত করা হয়। সেটা
১৯৫৯ সালের কথা। নির্বাসন নয়, ইরাকে সর্বোচ্চ দ
ফাঁসি।
মিসেস খলিল জানিয়েছিলেন, সাদ্দামকে সুস্থ আর স্বাভাবিক
মনে হচ্ছিল। তিনি নিজের বিচারের চেয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি আর কবিতা নিয়েই আলাপ করতে
বেশি আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে সাবেক প্রেসিডেণ্ট চিন্তিতভাবে বলেছিলেন, “ইরাকে
আমেরিকার আগ্রাসনে ইরানের সেনাববাহিনীর উচ্চাকাঙ্খা বেড়ে যেতে পারে।” মিসেস খলিল বলেছিলেন, ওটা ছিল আমাদের
দ্বিতীয় সাক্ষাৎকার। বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছিল। বিচার কার্য, আন্তর্জাতিক
বিষয়াবলি এবং কবিতা। আমি তাঁকে একটি বই দিয়েছিলাম, কবি আল-মুতানব্বির (যাঁকে আরবি ভাষার
সবচেয়ে বড় কবি মনে করা হয়) কবিতার বই। বইটি পেয়ে তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। তিনি বইটা
এমনভাবে গ্রহণ করেছিলেন যে, মনে হয়েছিল, তিনি যেন ওটাই চাইছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারে সাদ্দাম
তাঁকে তাঁর নতুন মহাকাব্য সম্পর্কে বলেছিলেন। মিসেস খলিল জানিয়েছিলেন, ওইদিন মি. সাদ্দাম
তাকে বলেছিলেন, “আগে আমি কবিতা লেখার সময় পাইনি, কিন্তু এখন আমার অনেক সময়, নিজেকে
আমি কবি করে তুলতে পারব।”
দি গার্ডিয়ান-এর রিপোর্ট
সাদ্দাম হোসেন যে কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন ওটা
সম্ভবত প্রথমবার বিশ্ব জানতে পারে ২০০৪ সালের মে মাসে। মার্কিনীদের তথ্যাবধানে নব গঠিত
ইরাক সরকার কর্তৃক নিয়োজিত মানবাধিকার মন্ত্রি বখতিয়ার আমিনের বরাদ দিয়ে লন্ডনের দি
গার্ডিয়ান পত্রিকা তখন ওই সংবাদটি ছেপেছিল। নির্জন কয়েদখানায় অন্তরীণ অবস্থায় সাদ্দাম
সময় কাটাচ্ছিলেন কুরান পড়ে আর কবিতা লিখে। ওই সময় তিনি ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ থেকে
সৃষ্ট শত্রট্ট জর্জ বুশকে নিয়ে একটি কবিতা লিখেছিলেন। সাদ্দামের সঙ্গে কয়েদখাানয় দেখা
করতে গিয়ে বখতিয়ার আমিন তা আবিস্কার করেছিলেন। বখতিয়ার আমিন খুবই সংক্ষিপ্ত পরিসরে
সাদ্দামের কবিতা সম্পর্কে রিপোর্ট করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ সাদ্দামের একটি কবিতা
জর্জ বুশকে নিয়ে কিন্তু ওটি পড়ার সময় আমার
নেই।” অবশ্য দি গার্ডিয়ানও নিশ্চিত হতে পারে নি কবিতাটি বর্তমানে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেণ্ট
জর্জ ডবিøউ. বুশকে নিয়ে নাকি তার বাবা জর্জ বুশকে নিয়ে। যাহোক, বুশকে নিয়ে লিখা
কবিতাটির অনুবাদ এখানে তুলে ধরা হলো।
আমার কলমই
গোপন অস্ত্র আমার
তারা আমাকে বলল বাগদাদের জানোয়ার
তাদের আচরণ বেদনাদায়ক আর বিদ্রুপপূর্ণ
কারণ তারা জানে না কখনো দেখেনি
সুরেলা মধুর কবিতার জগৎ আমার।
নিশ্চয়ই, আমি অনুমতি দিয়েছিলাম কিছুলোককে চাবুক মারার
জন্য
এবং কিছু দম্ভোক্তিও করেছিলাম শত্রট্টকে হত্যা করার
জন্য
কিন্তু এখন আমি আশা করছি পৃথিবীকে নতুন কিছু দেখানোর
এই সাদ্দামের এমন কিছু গুণ আছে যা কেউ জানে না।
এই সাদ্দামের দেহ-মন পূর্ণ শারীরিক-মানসিক যন্ত্রণায়
তবু সে চায় ঝাড়– দিয়ে দূর দিতে মানুষের বেদনা...প্রকৃতপক্ষে,
তাঁর নিজেরই নাম শুরু হয়েছে ‘স্যাড’ দিয়ে।
তুমি ধরে নিয়েছ কিছু অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছি আমি
হ্যাঁ, আমি তা স্বীকার করছি একটা অস্ত্র রয়েছে লুকোনো
এবং তা হলো আমার কলম, এটির মাথায় রয়েছে বিষ্ফোরক
অতীব শীতল হৃদয় গরম করার জন্য ।
এটা না কারাগার না পূতিগন্ধময় ইঁদুরের গর্ত
এখনও এটা শোক আর আর্তনাদে পূর্ণ।
তাই আমি এখন আবেগ পুড়াব, পরিভ্রমণ করব ভাবের জগতে
যতদিন না তুমি জেলের বাইরে নেবে আমাকে।
(এ কবিতাটির সম্ভাব্য ইংরেজি অনুবাদক-
Gene
Weingarten)
বাগদাদের বাঙ্কারে
বসে আমি দেখছি আমার আকাশ
একটি দলার মতো পড়ে আছি বাঙ্কারে
কখনো শুনছি ক্যাবলে শেষ সংবাদটি
কখনো স্ত্রীদের সঙ্গে কাটছে সময়
এবং কেবলই ভেবে যাচ্ছি কী করব
আলাপ করছি উদে আর কুসের সঙ্গে
একটি স্মার্ট বোমার বিস্ফোরণ ঘটল
মাথার ওপর
ভাবতে শুরু করলাম কিছু লোক আমাকে
ভালোবাসে না
আমি জেনে গেছি যে
আমার জীবনের দিন গুনা শুরু হয়ে গেছে।
অনুমান করছি নিজেকে একা আর দুঃখিত লাগছে
এমনসব কাজ করতে মন চাইছে, যা আগে চায়নি
ছবি আঁকতে
আর টাট্টু ঘোড়ায় চড়ে বেড়াতে
একটি দলার মতো পড়ে আছি বাঙ্কারে
দেখছি শেষ ক্যাবল সংবাদটি
অস্বস্তি হচ্ছ-মনও খুব ভেঙে পড়ছে
বাগদাদের বাঙ্কারে বসে আমি দেখছি আমার আকাশ।
বি.দ্র.
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাগদাদ থেকে তিকরিতে পলায়নের আগ পর্যন্ত সাদ্দাম বাগদাদের একটি
ব্যাঙ্কারে তার পরিবার পরিজনদের নিয়ে কিছুদিন ছিলেন। ওই বাঙ্কারে বসেই তিনি এ কবিতাটি
লিখেছিলেন। একটি লিটার্যারি ব্লগ থেকে পাওয়া গেছে এই কবিতাটি। এই কবিতাটিতেই ইঙ্গিত
রয়েছে, সাদ্দাম যে বুঝতে পেরেছিলেন একদিন তাঁকে মেরে ফেলা হবে। আর তিনি যে কবিতা লিখতে
চান, চবি আঁকতে চান।
একে (সম্ভবত
ইরাক) মুক্ত করে দাও
একে মুক্ত করে দাও
আর মুক্ত করো তোমার মন।
এ যে আমার আত্মার সঙ্গী আর তুমি তো আমার আত্মার প্রিয়তম।
আমার যে হৃদয়টা তুমি পেয়েছ - কোনো ঘর তাকে আশ্রয়
দিতে পারত না
যদি আমি ওইঘরে থাকতাম - তুমি হতে তার শিশির
তুমি তো ঘুরে ঘুরে ফিরে আসা মৃদুমন্দ বাতাস
আত্মা আমার পবিত্র হয় তোমার ছোঁয়ায়
এবং আমাদের বাথ পার্টি সবুজে শোভিত একটি ডালের মতো
বিকশিত হয়।
কোনো ওষুধ এ রোগ আরোগ্য করবে না কিন্তু একটি গোলাপ
তা সেরে দেবে।
শত্রট্টরা পরিকল্পনা করছে আর পাতছে ফাঁদ
সকলেই তারা নিজেদের ভুল জেনেও ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রচ ঘৃণা।
অন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা এটি এবং তা শূন্যতায়
ভরা
কিছুই প্রমাণ করবে না তা পরাজয় ছাড়া
মরিচা পড়া লোহার মতো তাদের দর্প আমরা চূর্ণ করে দেব
এরপর পাপের অতল গহব্বরে তলিয়ে যাবে তারা।
একে মুক্ত করে দাও
আমরা কখনো দুর্বল হবো না
আমাদের নৈতিকতা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আমাদের দৃঢ়তা।
সম্মানীয় আমাদের প্রতিরোধ, আমাদের আত্মার সঙ্গী
শত্রট্টদের তাড়িয়ে নিয়ে ফেলবে আমাদের সাগরে
এবং যারা তাদের সহযোগীতা করবে কাঁদতে হবে তাদেরও।
এখানে আমরা বুক খুলে দাঁড়িয়েছি নেংড়েদের উদ্দেশ্যে
এবং কখনোই নতজানু হবো না ওসব পশুদের সামনে।
আমরা যুদ্ধ করব সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে
এবং তাদের পশ্চাৎদেশে লাগাব চাবুক- খোদার ইচ্ছায়।
কীভাবে টিকবে তারা এমন চাপের মুখে?
বন্ধুরা, আমরা কখনো তোমাদের পড়তে দেব না ধূলোয়
সকল দুর্যোগে, আমাদের দল এবং দলের নেতা।
আমি আমার আত্মা উৎসর্গ করব এবং আমাদের জাতি
কঠিন সময়ে সহজেই পারে রক্ত ঝরাতে
শত্রট্টর যে কোনো আক্রমণে পা কাঁপবে না আমাদের
আবার শত্রুদের সঙ্গে আমরা আচরণও করি সম্মানের সাথে...
বি.দ্র. ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের
জীবনের শেষ কবিতার নাম Unbind it (ইংরেজি অনুবাদ), কখন, কী অবস্থায় তিনি এটি লিখেছিলেন
হয়তো কোনোদিন জানা যাবে না। সম্ভবত তাঁর কোনো কবিতাতেই স্থান-কালের উল্লেখ নেই। সাদ্দামের
চাচাত ভাই মুয়িদ ধামিন আল-হাজ্জ টেলিফোনে কবিতাটি পড়ে সাংবাদিকদের শোনান। নিউ ইয়র্ক
টাইমসের অনুবাদে কবিতাটির একাংশ ওই পত্রিকায় ছাপা হয় ৪ জানুয়ারি, ২০০৭।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন