সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

ব্যাঙ্গালোরে ‘বাঙালি খেদাও’


এবার ব্যাঙ্গালোরে ‘বাঙালি খেদাও’ কর্মসূচী চালু করল বিজেপি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : আসামের পর এবার কর্ণাটকে বাঙালি খেদাও কর্মসূচি চালু হল। দেশের নানা প্রান্তে অবৈধ বাংলাদেশী তাড়ানোর যে হিড়িক পড়েছে, সেই তালিকায় সবশেষ সংযোজন হল ব্যাঙ্গালোর। দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি পশ্চিমবঙ্গের ১৩ হাজার বাঙালিকে আজ সোমবারের মধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এসব বাংলাভাষী কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর ‘হোয়াইট ফিল্ড’ এলাকার বস্তিতে থাকেন। এরা আসলে নদীয়া-মালদা-মুর্শিদাবাদ এই সব জেলারই লোক। বেশির ভাগ ব্যক্তি কাজ করেন এই হোয়াইট ফিল্ড এলাকায় নির্মাণ শিল্পের শ্রমিক হিসেবে।
দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালোরে হাজার হাজার গরিব বাংলাভাষীকে ‘অবৈধ বাংলাদেশী’র তকমা দিয়ে উচ্ছেদ করার অভিযান শুরু করেছে শহরের পুর কর্তৃপক্ষ, যেখানে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। কর্ণাটকের মহাদেবপুরার বিধানসভা আসনের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি। আরএসএসের এই প্রচারক কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসেবেই বরাবর পরিচিত, এমনকী তার নামে গান পর্যন্ত বাঁধা হয়েছে কীভাবে তিনি হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে সফল করবেন।
তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে এই হুমকির সত্যতার কথা স্বীকার করে বলেছেন, “হ্যাঁ আমি ওই বস্তির শ্রমিকদের রাজ্য ছেড়ে যেতে বলেছি। কারণ ওরা সব বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে ওরা বিপজ্জনক।”
তাদের ভারতের ভোটার পরিচয়পত্র আছে, আঁধার কার্ড সহ সহ অন্যান্য প্রমাণপত্রও আছে। নিজেদের ভারতীয়ত্ব প্রমাণ করার মতো পরিচয়পত্র তাদের সঙ্গে থাকলেও রাজ্যে বিজেপির নেতা-বিধায়করা অবশ্য বলছেন সেগুলো বেশির ভাগই জাল এবং তাদের কর্নাটক থেকে তাড়াতেই হবে। এদের তাড়ানোর জন্য শহরের সোনডেকোপ্পাতে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়ে দেন।
এই হুমকির পর ওখানকার বাঙালিরা সাহায্য চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কাছে। মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “এটা মানা যায় না। আমরা এর জন্য কর্ণাটক সরকারকে বলব। প্রয়োজনে আমরা কর্ণাটক যাব। ” হোয়াইট ফিল্ড এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল আহাদ বলেছেন, “ওই বস্তিবাসীরা যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তার কোনো প্রমাণ নেই।”


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন