বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯

টনি মরিসন মারা গেছেন


নোবেল পুরস্কার ১৯৯৩ বিজয়ী আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ লেখিকা টনি মরিসন মারা গেছেন

জীবনী ও সাক্ষাৎকার
টনি মরিসন-ব্যক্তি জীবন


সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ লেখিকা টনি মরিসন ১৯৩১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অহিয়োর লরেইনে জন্মগ্রহণ করেন। পিতামাতা কর্তৃক দেয় নাম শ্লোয়ো অ্যানথনি ওফোর্ড। ১৯৪৯ সালে তিনি লরেইনের উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অনার্স গ্র্যাজোয়েট হন। উল্লেখ্য যে, ওটি ছিল একটি শ্বেতাঙ্গ স্কুল, ও সময় ওখানে তিনিই ছিলেন একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রী। এরপর তিনি হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তিনি দক্ষিণ আমেরিকা ভ্রমণে যান এবং সেখানকার আফ্রো-আমেরিকানদের জীবন সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভ করেন। তাঁর নামের উচ্চারণ অনেকের কাছেই সমস্যা হতো বলে ১৯৫৩ সালে তিনি তাঁর নাম বদল করে টনি রাখেন। ১৯৫৫ সালে টনি ব্যাচেলর অব আর্টস ইন ইংলিশ  ডিগ্রি লাভ করেন। একই বছর তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টস বিষয়ে মাস্টার্স করেন।  
১৯৫৭ সালে টেক্সাস সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় টনিকে শিক্ষকতার পদ অফার করে। কিন্তু তিনি যোগ দেন হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংলিশে মাস্টার্স ডিগ্রি করেন, সেখানে তিনি থিসিস করেছিলেন উইলিয়াম ফকনারের ওপর। ১৯৫৮ সালে মিস টনি জ্যামাইকান আর্কিটেক্ট হ্যারল্ড মরিসনকে বিয়ে করেন। ১৯৬১ সালে এই দম্পতির একটি পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু ১৯৬৪ সালে দু’সন্তান রেখে এই দম্পতির মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। একই বছর তিনি বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান র‌্যান্ডম হাউজে যোগ দেন এবং ১৯৭০ সালে ওই প্রতিষ্ঠানের নিউ ইয়র্ক সিটির সিনিয়র এডিটর নিযুক্ত হন।  ১৯৭০ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস দি ব্লুয়েস্ট আই বের হয়।  উপন্যাসটি পাঠক-সমালোচকদের দৃষ্টি কাড়লেও এ থেকে ব্যবসায়িক সফলতা তেমন আসেনি। মিসেস মরিসন দি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক-এ যোগ দেন ইংরেজির সহযোগি অধ্যাপক হিসেবে।  ১৯৭৩ সালে তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস সুলা  প্রকাশিত হয়। দু’জন কৃষ্ণাঙ্গ বয়স্ক মহিলার বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এ উপন্যাসের কাহিনী। এটি টনির স্বপ্নকে বহুদূর নিয়ে যায়। পাঠক ও সমালোচকদের মধ্যে ভালো সাড়া পড়ে, তারা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে তার এ উপন্যাসটিকে। ফলে দেশ-বিদেশে টনির নাম ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসতে থাকে নামকরা সব পুরস্কার। ১৯৭৫ সালে এ উপন্যাসটি ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ডঅহিয়ো বুক অ্যাওয়ার্ড লাভ করায় বেস্ট সেলারের তালিকার সর্বোচ্চে চলে আসে টনি মরিসনের নাম। ১৯৭৬ সালে তিনি ইয়েল বিশ্ববিধ্যালয়ে যোগ দেন ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে। ১৯৭৭ সালে সং অব সলোমন বের হয়, এতে একজন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষের জীবনের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়েটিভ রাইটিংসের ওপর শিক্ষাদান করছেন। জিয়া জেফরির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তরই এখানে অনুবাদ করা হলো।

সাহিত্য কৃতিত্ব এবং প্রাপ্ত পুরস্কার
উপন্যাস - দি ব্লুয়েস্ট আই (১৯৬৯), সুলা (১৯৭৩), সং অব সলোমন (১৯৭৭), টার বেবি (১৯৮১), বিলাভড (১৯৮৭), জাজ (১৯৯২), প্যারাডাইজ, নাটক- ড্রিমিং এম্মেট (১৯৮৬),
অন্যান্য কাজ- প্লেয়িং ইন দি ডার্ক: হোয়াইটনেস এন্ড দি লিটারেরি ইমাজিনেশন (১৯৯২)। 
পুরস্কার: সুলা-এর জন্য ১৯৭৫ সালে ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড নোমিনেশন
: সুলার জন্য ১৯৭৫ সালে অহিয়ো বুক অ্যাওয়ার্ড
: সং অব সলোমন-এর জন্য ১৯৭৭ সালে ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কেল অ্যাওয়ার্ড  (সং অব সলোমন-এর জন্য আরও অনেক পুরস্কার)
: বিলাভেড-এরর জন্য ১৯৮৭ সালে ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড নোমিনেশন  (বিলাভেড-এর জন্য আরও অনেক পুরস্কার।)
: বিলাভেড-এর জন্য ১৯৮৮ সালে পুলিটজার পুরস্কার একই বছর বিলাভেড-এর জন্য রবার্ট এফ. কেনেডি অ্যাওয়ার্ড
: ১৯৯৩ সালে নোবেল পুরস্কার। টনি মরিসনই প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলা যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন।

স্যালোন ইন্টারভিউ
জিয়া জেফরির লেখা ভূমিকা: টনি মরিসনের সঙ্গে আমি তাঁর সোহো অ্যাপার্টমেন্টে মিলিত হয়েছিলাম নোপ থেকে প্রকাশিত তাঁর প্যারাডাইজ উপন্যাসটি নিয়ে কথা বলার জন্য। তাঁর রুমে পৌঁছে আমি আমার কোট খুলে রাখলাম। তিনি সেটা একটা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে দিলেন এবং পানীয় খাবার দিয়ে আমাকে আপ্যায়ন করলেন। এরপর আমরা যতক্ষণ কথা বললাম মাঝেমধ্যেই তাঁর ফোন এলো তাঁর পুত্র, বোন এবং বন্ধুদের কাছ থেকে। খবর আসছিল বইটির রিভিউ কোথায় কোথায় ছাপা হচ্ছে সে সব ব্যাপারে। প্যারাডাইজ টনি মরিসনের সপ্তম উপন্যাস। শুরু হয়েছে, চমক লাগানো একটি বাক্য দিয়ে। তারা প্রথমে শ্বেতাঙ্গ মেয়েটিকে গুলি করল’। কৃষ্ণাঙ্গ লোকদের একটি দল তাদের ছোট্ট শহর ওকলাহামার পবিত্রতা রক্ষার জন্য ১৯৭৯ সালে ক’জন মহিলাকে হত্যা করেছিল। তারা যখন দেখল কিছু মহিলা নোংরা জীবন বেছে নিয়েছে, উচ্ছৃঙ্খলতা তাদের নৈতিক জীবনকে তাড়িত করেছে তখনই তারা হত্যাকাণ্ড লিপ্ত হলো। এমন একটি বিষয় যখন টনির বইয়ে প্রগাঢ় গভীরতায় উপস্থাপিত হলো তখন সহজেই তাঁর এ বইটি সেরা কাজের স্বীকৃতি লাভ করল।

প্রশ্ন: আপনার বইয়ের সমালোচনা কি আপনি পড়েন?
উত্তর: হ্যাঁ-হ্যাঁ, পড়ি।
প্রশ্ন: দি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ স¤প্রতি মিচিকো কাকোতানির লেখা যে সমালোচনাটি ছাপা হয়েছে ওটি নিয়ে কী ভেবেছেন? ওটি তো একটি সম্পূর্ণ নেগেটিভ সমালোচনা।
উত্তর: বইটি আসলে কেমন কিংবা এতে কী বলা হয়েছে আমি মনে করি সমালোচকের মতামতে এর প্রতিফলন ঘটেনি। কিছু লোক হয়তো একটি বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকেই বই পড়ে। দি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিদিনের আলোচনায় বইটি সম্পর্কে কোনো প্রশংসাসূচক বাক্যই নেই। তাই আমার মনে হচ্ছে, ওই আলোচনাটি বইটির প্রকৃত বিষয় সম্পর্কে সুলিখিত নয়। অগভীর, প্রশংসাহীন আলোচনা কিছু সময়ের জন্য হলেও বেদনাদায়ক। আন্তরিকতাশূন্য লেখা গভীরভাবে পরিহাসপূর্ণ। মনে হয় আলোচকের সম্পূর্ণ বইটি পড়ার সময় ছিল না।
প্রশ্ন: আপনার মনে হয় না সমালোচনা থেকে নিজেকে রক্ষা করার প্রয়োজন আছে?
উত্তর: আপনি তা পারবেন না।
প্রশ্ন: অর্থাৎ আপনার সম্পর্কে মানুষ কী বলে আপনার শোনা প্রয়োজন?
উত্তর: আমি জানি কিছু লেখক আছেন যারা এ ধরনের আলোচনা-সমালোচনার মাঝে স্বাস্থ্যপ্রদ কিছু দেখতে পান। বিশেষ করে, তাদের সৃজনশীল প্রক্রিয়ায়। তারা হয়তো কোনো রিভিউই পড়েন না, মন্দটাও না, অথবা তারা এর মাধ্যমে নিজেদের দোষ মুক্ত করতে চান। আবার মাঝেমধ্যে তারা তাদের কাছে বিষে পরিণত হন। ওই ধরনের বিচ্ছিন্নতার প্রতি আমার কোনো সমর্থন নেই। কিভাবে আফ্রিকান-আমেরিকান সাহিত্য এ দেশে গৃহীত হবে এ ব্যাপারটা নিয়ে আমি যার-পর-নেই ভাবী, কখনো লিখি, পর্যবেক্ষণ করি। এটা চলছে একটা দীর্ঘ, কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আর এখনো এর অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে। আমি বিশেষভাবে আগ্রহী মহিলাদের গল্প, উপন্যাস নিয়ে, ওগুলো কিভাবে আলোচিত হবে এবং পাঠকের কাছে গৃহীত হবে তা নিয়ে। আর এর সবচেয়ে উত্তমপন্থা হলো আমার নিজের বইয়ের রিভিউগুলো পড়া। তবে এর উদ্দেশ্য কিন্তু আমি কিভাবে লিখি সেটা দেখা নয়। আমি বোঝাতে চাইছি যে, আমার কাজের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। আমি মোটেই রাজি নই অন্য মানুষের পরামর্শে আমার লেখার আঙ্গিক বদল করে জটিলতা পাকাতে। আমার লেখা আমি কিভাবে লিখলাম এবং এতে কতটুকু সফল হলাম তা আমাকে অন্যদের লেখা পড়ে বুঝতে হবে না। কাজেই সমালোচকদের বক্তব্যের কোনো প্রভাব আদৌ আমার কাজের উপর পড়বে না। তবে সর্বসাধারণের মতামত জানার ব্যাপারে আমি  খুবই আগ্রহী। এবং আমি দেখেছি, ওসবে খুবই আগ্রহোদ্দীপক ও চিত্তাকর্ষক বিষয় থাকে।
প্রশ্ন: ‘প্যারাডাইজ’কে বলা হচ্ছে নারীবাদী উপন্যাস। আপনি এটা স্বীকার করেন?
টনি: মোটেই না। আমি কোনো ‘মতবাদী’  উপন্যাস লিখিনি, লিখব না।
প্রশ্ন: একজন নারী লেখক হয়েও কেন নিজেকে নারীবাদ থেকে দূরে রাখবেন?
উত্তর : যতটুকু সম্ভব নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করি আমি। আমার চিন্তার ক্ষেত্রে আমি একটি সীমাবদ্ধ অবস্থান মেনে নিতে পারি না। লেখালেখির জগতে এখন পর্যন্ত আমি যা কিছু করেছি-তাহলো নিজেকে কোনো একটি বিশেষ চিন্তায় আবদ্ধ না রেখে বরং চেষ্টা চালিয়েছি বৃহত্তর পরিসরে বহুমুখী ভাবের শিল্পরূপ দিতে। দুয়ার খুলে রাখায় আমি বিশ্বাসী। এজন্য মাঝেমধ্যে বই একেবারে শেষ করে দিই না, বরং এমনভাবে শেষ করি যাতে নতুন করে ভাবার সুযোগ থাকে, পুনরায় পড়ার আগ্রহ জাগে, কিছুটা দ্ব্যর্থক ভাবের জন্ম দেয়। কোনো প্রকার ’মতবাদ’ দ্বারা প্রভাবিত ধরনের লেখাকে আমি ঘৃণা করি। আমার কাছে ওটা বড় অপছন্দের কাজ। আমি মনে এতে কিছু পাঠক দূরে সরে যাবে,  যারা অন্তত বুঝতে পারবে যে, আমি এক ধরনের নারীবাদের প্রচার করছি। কোনো প্রকার গোষ্ঠীপতিত্ব করার চাঁদা আমি নিইনি। এবং আমি এটাও মনে করি না কারও লেখা নারীবাদের (বা মাতৃতান্ত্রিক শাসনের) বিকল্প হওয়া উচিত। আমি মনে করি, নিরপেক্ষতা এক্ষেত্রে সব ধরনের পাঠকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, এবং একই সঙ্গে সব ধরনের বিষয়ের জন্য দুয়ার উন্মুক্ত রাখাও জরুরি।
প্রশ্ন: উপন্যাসটিতে যেহেতু অনেক নারী চরিত্র তাই এটাকে একটা মোড়ক দেওয়া যায়।
উত্তর : হ্যাঁ, কিন্তু এটা শ্বেতাঙ্গ পুরুষ লেখকের বেলায় তা ঘটে না। কেউ-ই বলেন না, আলেক্সান্দার সোলঝেনিৎসিন শুধু ওই রাশানদের নিয়ে লিখেছেন। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি, তাঁর কী হয়েছিল? তিনি কেন ভারমনট প্রসঙ্গে লেখেন নি? পুরুষ চরিত্রে ভরপুর এবং কমসংখ্যক মহিলা নিয়ে যদি আপনার একটি উপন্যাস থাকে...?
প্রশ্ন: এমনকি কেউ আপনাকে সতর্ক পর্যন্ত করে নি? চোখের ইশারাও বলেনি যে, মহিলাদের সঙ্গে হেমিংওয়ের এই নিয়ে বেশ সমস্যা হয়েছিল?
উত্তর: না, কেউ ইশারা করেনি।
প্রশ্ন: ‘প্যারাডাইজ’-এর নারী চরিত্রের অনেকের মধ্যে প্রবল সমস্যা রয়েছে। আমার মনে হয়েছে আপনি তাদের কারও সঙ্গে রয়েছেন, নৈতিকভাবে দৃঢ় চরিত্রের কারও সঙ্গে।
উত্তর : আমি মনে করি, যুবতী মন্ত্রী রেভ. মেইজনারের চরিত্রটির সঙ্গে আমার নৈতিক সমস্যা সংক্রান্ত অনুভূতির মিল রয়েছে। ধর্মানুভূতিতে আঘাত না দিয়েও সে দৃঢ়তার সঙ্গে সংগ্রাম করে যাচ্ছে নাগরিক অধিকারের অপ্রতিষ্ঠিত কিছু বিষয় নিয়ে। 
প্রশ্ন: এবং সে একই সঙ্গে যুবকটিকে নিয়েও উদ্বিগ্ন।
উত্তর : হ্যাঁ যুবকটিও উদ্বিগ্ন যে, তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছে। একই সময় যখন, প্রকৃতপক্ষে যুবকটি সঠিক অবস্থানেই ছিল, কিন্তু তাদের সামনে ছিল কিছু উচ্চাশা...এরপরই হঠাৎ নিরবতা। আর তারা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন  হয়ে গেল।
প্রশ্ন:  আনা কারনিনার ‘লেভ’-এর মতো।
উত্তর : হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন।
প্রশ্নœ: সংগ্রাম করে নৈতিকতা দিয়ে...।
উত্তর : সবকিছুতেই যে সে ধনাত্মক এটা ঠিক নয়, তবে বিতর্কটিতে সে সম্পূর্ণ প্রবেশ করতে চায়। এই ভয়াবহ কাজটিতে সে শিশুদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। দুটি পরামর্শ বা জিনিসের উল্লেখ এতে রয়েছে। ওগুলোর মধ্যে একটি হলো, প্যারাডাইজ  পড়া সুখকর হবে না, কারণ এতে গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন একটি বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে, যার নাম ধর্ম। 
প্রশ্ন: এবং বলা হয়েছে প্যারাডাইজ একটি কঠিন বই ...।
উত্তর : এ কথাটা আমাকে সবসময়ই আহত করে। আমার শ্বাস রোধ হয়ে আসে যখন শুনি যে এ বইটা কঠিন।
প্রশ্ন: ‘নারীবাদ’ শব্দটার সঙ্গে আপনার কি কোনো সম্পর্ক আছে? নাকি ছিল বেড়ে ওঠার প্রাক্কালে, যেহেতু প্রথমত আপনি একজন কৃষ্ণাঙ্গ, দ্বিতীয়ত একজন নারী।
উত্তর : আমি মনে করি আমি ‘‘কৃষ্ণাঙ্গ ও নারীবাদী’’ এ দু’টি শব্দের সংমিশ্রনেই বেড়ে ওঠেছি। কারণ আমার চারপাশে ছিল শুধু কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা, যারা খুবই-খুবই জটিল মনোভাবের এবং আগ্রাসী ধরনের। তারা মনে করত সন্তান পালন ও পরিবারের দেখাশোনার পাশাপাশি তাদের প্রচুর কাজও করতে হয়। বরাবরই তাদের কন্যাদের কাছে তাদের ছিল উচ্চ প্রত্যাশা। কিন্তু ওগুলোকে আমি কখনো নারীবাদী কর্মকাР বলব না। আমার মা লিটল টাউনে থিয়েটার দেখতে যেতেন, ওটি সবে শুরু হয়েছিল। তিনি নিশ্চিত হয়ে নিতেন যে ‘‘ওখানে এক পাশে কৃষ্ণাঙ্গ আরেকপাশে শ্বেতাঙ্গ’ দর্শকদের মাঝে এমন বিভাজন টানা হবে না। একদিন তিনি সবার আগে ওখানে গেলে তাকে বসানোর জন্য একজন পথ প্রদর্শক এগিয়ে এলো। তিনি তার চারপাশে তাকিয়ে এর জন্য প্রতিবাদ জানালেন। ওটা ছিল তার প্রতিদিনের কাজ। এমনকি পুরুষদের বেলায়ও একই কথা বলতেন তিনি। তাই বলে আমার মনে হয় না ওই ধরনের বাস্তবতার বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য আমার মাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা উচিত হবে। আবার মহিলা বলে নিজেকে তিনি ওই কাজ থেকে নিবৃত্তও রাখেন নি। বাচ্চাদের বেলায়ও, যারা সিনেমা দেখতে যেত,  তিনি একই রকম মনোভাব পোষণ করতেন। কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেমেয়েরা, তাঁর নিজের কন্যা এবং তাঁর পুত্ররা। কাজেই বলতে পারি আমি এমন সব লোকদের আমার চারপাশে পেয়েছি যারা এ দু’টি ভূমিকাই যথাযথ পালন করেছেন। পরে এটাকে বলা হলো নারীবাদী আচরণ। এই ধরনের সংজ্ঞার জন্য প্রথম দিকে আমাকে বেশ সমস্যা পোহাতে হয়েছে। কিছু আর্টিক্যাল এর ওপর আমি লিখেছি এবং লিখেছি উপন্যাস সুলা। তাত্তি¡্ক দিক থেকে ওটি ছিল প্রকৃতই নতুন ধারণা। যাতে বলা হয়েছে, এক মহিলার উচিত আরেক মহিলার বন্ধু হওয়া। এবং সেই কমিউনিটিতে যেখানে আমি বড় হয়েছি, সেখানে আমি দেখেছি মহিলারা পুরুষকে বাদ দিয়ে মহিলাকে বন্ধু হিসেবে বেছে নিয়েছে, যে কোনো সময়। এ অর্থে তারা ছিল পরস্পরের প্রকৃতই বোন।
প্রশ্নœ: পুরুষ লেখকদের সঙ্গে কি আপনার যোগাযোগ আছে? এর কোনো প্রয়োজনীয়তা কি আপনি দেখেন?
উত্তর : আমার প্রকৃতপক্ষে খুব কম বন্ধুই আছেন যাঁরা লেখক। কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছেন যাঁরা মাঝেমধ্যে লিখে থাকেন। তাঁরা অবশ্য বড় বেশি ব্যতিক্রম মানুষ। আমাদের অবস্থাটা এমন যে, আমরা স্বাভাবিকভাবেই একে অপরের কাজকে অপছন্দ করি না। এমনই হীনমন্যতা মুক্ত। কিংবা এমন বিচারও করি না কে সর্বশ্রেষ্ঠ। তবে দেখা যায় না এমন একটি মহান প্রতিযোগিতা আমাদের মাঝে রয়েছে। এবং মাঝেমধ্যেই তাদের লেখায় আমার বইয়ের সমালোচনা আমি  দেখতে পাই। একজন কৃষ্ণাঙ্গ লেখিকা আলোচনা করছে আরেকজন কৃষ্ণাঙ্গ লেখিকার বইয়ের। সমালোচনাও অবশ্যই থাকছে তবে তা সমালোচানার সংস্কৃতি গ্রাহ্য।
প্রশ্ন: কখন লেখেন? সাংসার ধর্ম পালন করার পর কিভাবে পেরে উঠেন?
উত্তর : খুব সকালে, ওদের জেগে উঠার আগে। রাত জেগে আমি ভালো  লিখতে পারি না। খুব বেশি উৎপাদন আমি করতে পারি না। তবে খুব ভোরে ঘুম  থেকে উঠতে পারি। উঠেই লিখতে শুরু করি। সপ্তাহান্তেও একই কথা। গ্রীষ্মকালে বাচ্চারা আমার পিতামাতার কাছে অহিয়োতে বেড়াতে যায়, ওখানে আমার বোন বাস করে, আমার পুরো পরিবার তখন বাইরে থাকে। কাজেই পুরো গ্রীষ্মকালটা আমি লিখে কাটাই। এবং এভাবেই লেখালেখির কাজটা আমি চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুটা উন্মাদের আচরণের মতো মনে হতে পারে, কিন্তু আমি চিন্তা করে দেখেছি, একজন স্বাভাবিক মহিলার জীবন, তাকেও তো একসঙ্গে অনেক কাজ করতে হয়। আমারটাও একই রকম। তারা করতে পারে যা করার সামর্থ্য তাদের আছে। তারা বাস্তবতাকে মোকাবিলা করে। তবে সময়কে কাজে লাগানোর শিক্ষাটা আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। থালা-বাসন সবসময় একইভাবে ধুইলে চলবে না। আপনাকে একই সঙ্গে চিন্তাও করতে হবে। আপনি জানেন, থালাবাসন ধোয়ার কাজটা আপনার সবটা মন দখল করে রাখতে পারে না। কিংবা সাবওয়েতে চলার পথে,  ট্রেনে বসে একটি চরিত্র নিয়ে চিন্তা করে আমি আমার সাহিত্যের অনেক সমস্যা দূর করছি। যখন আপনি কিছতেই কিছু করতে পারেন না-তখন আপনি পত্রিকা পড়তে পারেন। ওই চিন্তাটা কিন্তু আপনাকে মাথায় রাখতেই হবে। এ অবস্থায় আমার মনে হয়েছে, আচ্ছা সে (চরিত্র) কি তা করতে পারে না? এভাবে অনেক সময়ই আমি ভালো কিছু পেয়ে গেছি। ততক্ষণে হয়তো আমি আমার কর্মস্থলে পৌঁছে গেছি এবং লিখে নিয়েছি পথে পথে যা ভেবেছি। এরপর আর ভুলে যাই নি। আমার অভ্যন্তরস্থ কঠিন জীবন চরিত্রদের জন্য উপযোগী করে এভাবেই আমি গড়ে তুলেছি। আর আমার নিজের মাঝে কিছু যেন সব সময় মাখন তোলার চরকির মতো ঘুরতে থাকে। অবসর সময় নেই একটুও। আর এর বেশি কিছু করারও নেই আমার। কিন্তু এখনো, অনেক কাজের সঙ্গে আমি  জড়িত। বলতে চাচ্ছি, বাইরে খুব একটা বের হই না আমি।
প্রশ্ন: আপনি কি সাহিত্যে লঘুপ্রকৃতির সাহিত্য, ভারতীয় সাহিত্য, কৃষ্ণাঙ্গ সাহিত্য, কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা সাহিত্য এমন বিভাজন দেখতে পান? বিশেষ করে ধনাত্মক অর্থে?
উত্তর : ওহ, অবশ্যই। এটা সবকিছু বদলে দেয়। বিষয়টার মধ্যে হয়তো আঁকড়ে থাকার একটা প্রবণতা দেখা যায় কিন্তু এর দ্বারা বিশ্ববাজারে বই সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়। যেমন, কিছু নেটিভ আমেরিকান লেখক নিজেদের নেটিভ আমেরিকান লেখক বলে পরিচয় দিয়ে মজা পায়। আমার একজন নেটিভ আমেরিকান ছাত্র ছিল, আমি তাকে বলেছিলাম, ‘এ বইটি লিখে তুমি সমস্যায় পড়তে যাচ্ছ, কারণ এখানে উত্তর আমেরিকার আদিবাসীদের হরিণের চামড়ায় জুতো নেই কিংবা নেই তাদের যুদ্ধাস্ত্রের কথা।’ সত্যিই সে মহা ফাঁপরে পড়েছিল। বোঝাতে চাইছি, কোনো কিছুর বশ্যতা মেনে নেওয়া, আমি একবারও এসবের সংখ্যার পুনঃউল্লেখ করতে চাই না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেটি বইটি প্রকাশ করেছিল, এবং আপনি জানেন যে, ওটি ছিল তার প্রথম উপন্যাস, যার বেশ কিছু ভালো সমালোচনাও হয়েছিল। কিন্তু আসল ব্যাপারটা ছিল বর্জন করার ক্ষমতা অর্জন করা।  আমি দেখেছি, নেটিভ আমেরিকানদের চিন্তার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাই বিশেষ এই একটি বিষয়ে তারা আমেরিকান থাকতে চায়।
প্রশ্ন: আপনি প্রিন্সটনে সৃজনশীল লেখার ওপর শিক্ষাদান করছেন, লেখা কি শেখানো যায়?
উত্তর: আমি মনে করি লেখাসংক্রান্ত কিছু ধারণা দেওয়া যায়। স্বভাবতই আপনি লক্ষ্য (বা প্রত্যাশা) নির্ধারণ করে দিতে পারেন না এবং পারেন না মেধাশক্তি বাড়াতে। কিন্তু লেখায় তাদের স্বচ্ছন্দ করে দিতে পারেন।
প্রশ্ন: অথবা বিশ্বাস?
উত্তর : ভালো কথা, আমি সেটা প্রচুর পরিমাণে পারি। আমি এ ব্যাপারে অত্যন্ত বেপরোয়া। আমি শুধু তাদের বলি। তোমাদের এটা করতে হবে। আমি তাদের কাছ থেকে নাকি কান্না (বা মেয়েলি কথা) শুনতে চাই না যে এটা ভীষণ কঠিন। ওহ, ওই ধরনের কোনো কিছুই আমি সহ্য করি না, কারণ বেশিরভাগ লেখককেই লিখতে হয় বিশাল প্রতিকলতার মধ্যে। আমি নিজে ওই লেখকদেরই একজন। কাজেই তারা কেন তা অর্জন করতে পারবে না এ ব্যাপারে কোনো নাকি কান্না হাস্যকর। আমি যা ভালোভাবে করতে পারি সর্বদাই তা করে যাচ্ছি, তাহলো সম্পাদনা। আমি তাদের চিন্তার গাড়িটাকে অনুসরণ করতে পারি, দেখি তাদের ভাষাটা কোনদিকে যাচ্ছে। অন্যান্য সড়কের পরামর্শ দিই। আরও একটি কাজ আমি খুব ভালো পারি, পাণ্ডুলিপি দেখে দিতে পারি।
প্রশ্ন: একজন লেখিকা এবং মা হয়েও আপনি একজন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন? এটা কেমনতরো ভোজবাজির খেল?
উত্তর : আমি যখন পেছনের বছরগুলোর দিকে তাকাই, যখন আমি প্রতিদিন অফিস করতে যেতাম, যখন আমার ছেলেমেয়েরা ছোট ছিল, আমি তখন সত্যি বুঝে উঠতে পারছিলাম না কিভাবে সবকিছু সামলাব? প্রশ্ন উঠতে পারে কেন আমি অতসব কাজ একসঙ্গে করছি? অংশত উত্তর হলো, একটা কারণ হতে পারে যে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমি ব্রেডউইনার। কাজেই আমাকে সবকিছুই করতে হবে যা আমার পরিবারকে স্বাধীন অবস্থানে থেকে দেখাশোনা করার ক্ষমতা দান করবে।  কিন্তু লেখাটা আমার একান্তই নিজস্ব, তাই আমি চুরি করতাম। চুরি করে পৃথিবী থেকে পালাতাম, পৃথিবীর বাইরে।
প্রশ্ন: লুইস কে? আপনার বই লুইসকে উৎসর্গ করেছেন।
উত্তর : আমার বোন। একটাই বোন, যার নাম (লাফটার)।
প্রশ্ন: ‘নোপ’-এ (কহড়ঢ়ভ) আপনার সম্পাদক কে ছিল?
উত্তর: দু’জন সম্পাদক ছিল আমার।
প্রশ্ন: এরোল্ড ম্যাকডোনাল্ড ও সনি মেহ্তা?
উত্তর : হ্যাঁ, আপনি জানেন দেখছি। আমার একজন সম্পাদক ছিলেন বব জুটলিব। সব বইয়েরই, বিলাভেড পর্যন্ত। পরে তিনি নিউ ইয়র্কারে চলে গেলেন। আমাকে আরেকজন সম্পাদক খুঁজে নিতে হলো। অনেকে বলেন, ‘আপনার তো কোনো সম্পাদকের প্রয়োজন হয় না, নাকি হয়?’ আমি বলি, হ্যাঁ হয়। কারণ সবসময় আমি চাই সবার মধ্যে একজন হতে। তাই আমি জানি একজন ভালো সম্পাদকের গুরুত্ব কতখানি।’ আমি বলতে চাচ্ছি, কেউ একজন থাকবে শুধু কথা বলার জন্য। এ ব্যাপারে বব খুবই নির্ভরযোগ্য ছিল। শুধু কথাবার্তার মাধ্যমেই আমি তার কাছ থেকে প্রচুর শিখেছি। সে শিক্ষিত, হাস্যরসিক এবং আপনাকে বলার মতো অনেক কিছু তাঁর জানা আছ। এটা শুধু পাণ্ডুলিপির মার্জিন ঠিক রেখে লিখে যাওয়ার ব্যাপার নয়; আরও কিছু...
প্রশ্ন: অর্থাৎ সামষ্টিক চিন্তন?
উত্তর :  ঠিক তাই। নোপে সনি এরোল্ড ম্যাকডোনাল্ডকে অনুসরণ করে। যাকে আমি খুবই পছন্দ করি। সত্যিই বই এবং বইয়ের প্রকাশনায় অসম্ভব রকম স্বচ্ছন্দ মি. এরোল্ড।  কিন্তু নোপের প্রেসিডেন্ট তিনি। বব জুটলিবও প্রেসিডেন্ট ছিলেন, কিন্তু তিনি ছিলেন শুধু পাণ্ডুলিপি সম্পাদনাসংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট। বাক্য থেকে বাক্য সম্পাদনা করতেন তিনি। কিন্তু এরোল্ড তা করেন না। আমি বলতে চাচ্ছি, তার তা করা উচিত। যদিও অধিকাংশ প্রেসিডেন্টই তা করেন না। কিন্তু আমি চেয়েছি এমন একজন যে কাজটা ভালোভাবে করতে সক্ষম।  
প্রশ্ন: সুতরাং এরোল্ড আপনার প্রকৃত সম্পাদক?
উত্তর : তিনি আমার... হ্যাঁ। আমার বাক্যের। তাঁর যোগ্যতা নিয়ে আমার মধ্যে কোনো দ্বিমত ছিল না। তিনি সত্যিই ভালো। তিনি সবকিছুই পড়েন এবং যোগসূত্র স্থাপন করতে পারেন। তিনি পুরো বইটি দক্ষতার সঙ্গে পরিবেশন করার ক্ষমতা রাখেন। বই প্রকাশনার জন্য যেমন প্রচ্ছদ, বাঁধাইয়ের কাপড়, কাগজ ইত্যাদি যা কিছু প্রয়োজন সবকিছু তাঁর নখদর্পণে থাকে। ‘জাজ’-এর ক্ষেত্রে প্রায় শেষ পর্যায়ে অমি তাঁর সঙ্গে যৌথ সম্পাদনায় যোগ দিয়েছিলাম। কাজেই ওতে তাঁর কাজ কিছুটা কমে গিয়েছিল। আর ‘প্যারাডাইজ’-এর পাণ্ডুলিপি আমি তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। ধরুন, তখন মাত্র ১০০ পৃষ্ঠা লেখা হয়েছে। এবং ওতে তাঁর বেশ কিছু সহযোগিতা আমি পেয়েছিলাম। সুতরাং ঐকান্তিকতার স্তরটি একরকমই ছিল, কারণ পাণ্ডুলিপিটি আমি জমা দিয়েছিলাম একটি জটিল পরিস্থিতিতে।

স্যালোন সাক্ষাৎকার
সূত্র: ইন্টারনেট
সাক্ষাৎকার গ্রহণ-জিয়া জেফরি
বাংলানুবাদ-গাজী সাইফুল ইসলাম
সূত্র: বিশ্বের 85 ব্যক্তিত্বের মুখোমুখি
গাজী সাইফুল ইসলাম
টনি মরিসন



BornFebruary 18, 1931, Lorain, Ohio, United States