শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নদ ও নদীর মধ্যে পার্থক্য
by Arik kaysar

নদ এবং নদীর মধ্যে ব্যাকরণগত যে লিঙ্গ বিভাজন তা পৃথিবীর আর কোনো ভাষাতে আছে কিনা আমার জানা নেই।
নদী বলতে সাধারণত বোঝায় যে জলস্রোত কোনো পর্বত বা উঁচু জলাধার থেকে সৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন জনপদের উপরে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অন্য কনো জলাশয়ে প্রবাহিত হয় তাকে নদী বলে। কিন্তু নদী হতে হলে জলস্রোতের শাখা প্রশাখা বিস্তার করতে হবে। যেমন পদ্মা, মেঘন, সুরমা ইত্যাদি।
কোনো জলস্রোত যদি কোনো শাখা বিস্তার না করে তাহলে সেটাকে বলা হবে নদ। যেমন আড়িয়াল খাঁ, কপোতাক্ষ।
এইখানে কথা থেকে যায়। ব্রহ্মপূত্রকে আমরা নদ বলি। অথচ ব্রহ্মপূত্রের একটি বড় শাখাই হলো যমুনা নদী যার আবার ধরলা করতোয়া, আত্রাইয়ের মত উপনদী আছে!…
আবার অনেকে বলে থাকেন, নদীর নামকরণের উপরে নির্ভর করে একটি নদী কি নদ না নদী হিসেবে গণ্য হবে। পুরুষবাচক শব্দে নামকরণ হলে সেটাকে নদ আর স্ত্রীবাচক শব্দ দিয়ে নামকরণ করা হলে সেটাকে নদী হিসেবে গণ্য করা হবে। যেমন পুরুষবাচক নামের শেষটা হবে শূন্য বিভক্তি দিয়ে। যেমন, ব্রহ্মপূত্র, ভৈরব, কপোতাক্ষ ইত্যাদি। আর নারীবাচক নামগুলোর শেষে ‘আ’ কিংবা ‘ঈ-কার’ থাকবে। যেমন, মেঘনা, সুরমা, কর্নফুলি।
তবে এক্ষেত্রেও কথা থেকে যায়। আড়িয়াল খাঁ নামে বাংলাদেশে দুটো নদী আছে। এর একটি ফরিদপুর, মাদারীপুর ও বরিশালে। যেটিকে আড়িয়াল খাঁ নদ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। অন্যটি রয়েছে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। সেটিকে নদী হিসেবেই অবহিত করা হয়। একই কথা প্রযোজ্য মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা অঞ্চলের ভৈরব নদীর ক্ষেত্রেও। একই জলপ্রবাহ অথচ একস্থানে নদ অন্যস্থানে নদী!